event
শুঁটকিজ "হুঁনি রাঁধনত গুনী হন? সিজন ১
চট্টগ্রামের একটা ঐতিহ্যবাহী খাবার শুঁটকি । কিন্তু সেই শুটকি অনেকেই দুর্গন্ধ বা শুটকি খেলে ক্যান্সার হয় এজন্য শুটকি খাওয়া থেকে দূরে থাকেন । তাই নিরাপদ শুঁটকিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এবং ঐতিহ্যবাহী শুটকিকে সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়া ও চট্টগ্রামের গুনী শুটকি রাধুনিকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে গত ২০২১ সালে শুটকিজ আয়োজন করেছিল এক ভিন্নধর্মী রান্না প্রতিযোগিতা "হুঁনি রাঁধনত গুনী হন? "। এই প্রতিযোগীতায় প্রতিযোগীরা শুধুমাত্র শুঁটকি রান্না করেছিলেন অসাধারণ, ইউনিক সব রেসিপি দিয়ে। ভিন্নধর্মী এই প্রতিযোগীতা দারুন সাড়া ফেলেছিল সবার মাঝে। অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন করেন ১১৬ জন প্রতিযোগী।
এই আয়োজন ছিল তিন পর্বে বিভক্ত, অনলাইনে প্রথম পর্ব চলেছিল ২৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর। এই পর্বে ১১৬ জন প্রতিযোগী তাদের অসাধারণ সব রেসিপি অনলাইনে পাবলিশ করেন।
শুঁটকির পিৎজা
ড্রাইফিশ ডাম্পলিং
শুঁটকির টফি
শুঁটকির মরিচখোলা
২য় পর্বের কিছু রেসিপি :-
প্রথম পর্বের ১১৬ জন প্রতিযোগী থেকে বিজ্ঞ বিচারকগস ২য় পর্বের জন্য ২০ জনকে নির্বাচিত করেন। এই ধাপে শুটকিজের পক্ষ থেকে সব প্রতিযোগীকে একটি প্রিমিয়াম গিফট বক্স পাঠানো হয় যেখানে ৩/৪ প্রকার শুটকি ছিল। এই শুঁটকিগুলো দিয়ে ২য় পর্বের রান্না করতে হয়। ২য় পর্ব অনুষ্টিত হয়েছিল অনলাইন ও অফলাইন মিলিয়ে। অনলাইনে প্রতিযোগীরা ২টি রেসিপি এবং শুঁটকি নিয়ে একটি রিসার্চ কনটেন্ট পাবলিশ করেন। ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে চট্টগ্রাম নগরীর উইন্ড অফ চেঞ্জ রেস্টুরেন্টে অফলাইন পর্বে প্রতিযোগীরা তাদের রেসিপি বিচারকদের সাথে উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞ বিচারকগন প্রেজেন্টেশন, নিউনিকনেস, টেস্ট বিচার করে ৭ জনকে ফাইনালের জন্য মনোনীত করেন।
রুপচাঁদা শুঁটকির বারবিকিউ
শুঁটকির মোমো
শুঁটকির পুলি পিঠা
ফাইনাল
ফাইনাল পর্বে উপস্থিত ছিলেন Rangs Fc এর সম্মানিত সিইও তানভির শাহরিয়ার রিমন, তিলোত্তমা চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ড সাহেলা আবেদিন, সওদাগর ডটকমের সিইও আরিফ চৌধুরী, সেলাই এর ফাউন্ডার... সহ সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ। ২ পর্বের রান্নার ফাইনাল শেষে সেরা শুঁটকির রান্নার খেতাব জয় করেন কাউসারি সুলতানা, প্রথম রানার্সআপ হন সাথী সুজন এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হন জেসমিন আক্তার জেসি। পুরো ফাইনাল পর্বটি টিভি চ্যানেল এবং অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়
প্রমোশন
প্রতিযোগীতার পুরো সিজনটি অনলাইন প্রমোশনের মাধ্যমে ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ সারাদেশের প্রায় ১ লক্ষ মানুষর কাছে পৌঁছে যায়। ফাইনাল পর্ব জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল সিপ্লাস টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার হয় যেটি দেখেছে প্রায় ১,১২,০০০+ এরও অধিক মানুষ, একই সাথে লাইভটি শেয়ার হয় ৩৫০+ এরও অধিক। এ ছাড়াও বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় নিউজ পাবলিশ হয়।