শুঁটকিজ নিবেদিত
হুঁনিরাঁধনত গুনী হন
উম্মে হাবিবা চৌধুরী
রেসিপির নাম- সিগনেচার ডিস স্পেশাল-“শোল মাছ এবং ছুরি শুঁটকির দোমাছা”
ক.উপকরন-
- সিমের বিচি-২৫০ গ্রাম
- ফুতা বেগুন-৪টা
- টমেটো- বড় ১টা
- পেয়াজ কুচি -অর্ধেক
- রসুন -২/৩ কোয়া কুচি/পেস্ট
- শোল মাছ -৫পিস
- ছুড়ি শুটকি-৪/৫ পিস
- হলুদ-১চা চামচ
- মরিচ -২ চা চামচ
- ধনিয়া গুড়া-দেড় চা চামচ+জিরা গুড়া- আধা চা চামচ
- সরিষার তেল/সয়াবিন তেল – ২ টেবিল চামচ
- লবন- ১চা চামচ/স্বাদ অনুযায়ী
- ধনিয়া পাতা- ২ টেবিল চামচ
খ. ধৌত প্রনালী –
**শুটকি- আস্ত ছুরি শুটকি পানিতে ভিজিয়ে স্টিলে জালি দিয়ে ঘষতে হবে। উপরের সিলভার আবরন উঠে গেলে মাছের মত অপ্রয়োজনীয় অংশ ফেলে দিয়ে পিস করতে হবে। এরপর ৪/৫ বার নরমাল পানিতে ধুয়ে এরপর কুসুম গরম পানিতে ৫মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। শুটকির গায়ে লেগে থাকা ময়লা নরম হলে হাত দিয়ে ঘষে তুলতে হবে। এরপর গরম পানি থেকে তুলে আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুলে ব্যবহারযোগ্য হবে।
**শোল মাছ-
শোল মাছ কেটে ভেতরের ময়লা ফেলে আশ বেছে ৩/৪ বার ধুতে হবে। এরপর লবন ও হলুদ দিয়ে ভালভাবে নেড়ে আবার ধুতে হবে।
গ. প্রস্তুুত প্রণালি –
প্রথমে চুলায় হাড়ি চাপিয়ে তেল দিতে হবে। এরপর পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে নাড়তে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে জ্বাল কমিয়ে আস্তে আস্তে সব মশলা মেশাতে হবে। এরপর সামান্য পানি দিয়ে কষাতেতে হবে ( তেল উঠে না আসা পর্যন্ত)। কসনো হলে তাতে মাছ দিয়ে আবার কষাতে হবে ( প্রয়োজনে সমান্য পানি দিতে হবে)।
কষানো হলে মাছ তুলে ফেলতে হবে। এরপর শুটকি দিয়ে আবার কষাতে হবে। এরপর শিমের বিচি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শিমের বিচি একটু শক্ত থাকা অবস্থায় তাতে বেগুন টমেটো দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে উপরে মাছগুলি বসিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিতে হবে। ৫ মিনিট পর তাতে পরিমান মত পানি দিয়ে বেগুন টমেটো সিদ্ধ করতে হবে। সব উপকরণ সিদ্ধ হলে ধনিয়া পাতা দিয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
বিঃদ্রঃ – বেগুন ও শিমের বিচির জাতের উপর সিদ্ধ হওয়ার সময় নির্ভর করে তাই হাত দিয়ে টিপে দেখতে হবে।